ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিয়ের অনুষ্ঠানে টক দই পরিবেশন করাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে বরপক্ষের হামলায় কনের বাবা নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনের বাবা ইকবাল হোসেনের (৫০) মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গণকমুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম কসবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমা’র সাথে পাশের বিষ্ণাউড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়ার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বরযাত্রী আসতে দেরি হওয়ায় তাদের খাবার আলাদা করে রাখা হয়। পরে বরযাত্রী আসার পর তাদেরকে খাবার দেয়া হলে দুইজন বরযাত্রী দই টক হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বয়োজ্যেষ্ঠরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বুধবার রাত ১০টার দিকে গ্রামের বাজারে চা খেতে গেলে কনের বাবা ইকবাল হোসেনকে বরপক্ষের কয়েকজন যুবক দই টক হওয়া নিয়ে আবারো কটূ কথা বলেন। এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই যুবকরা ইকবাল হোসেনকে মা’র’ধর করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, বিয়ের খাবার নিয়ে বরপক্ষের মা’রধ’রে কনের বাবা আহত হন বলে জানতে পেরেছি। আহত অবস্থায় ইকবাল হোসেনকে স্থানীয়রা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ইকবাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : নয়া দিগন্ত, আরটিভি অনলাইন